শনিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২১, ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন
রমজান মাস মুসলমানদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতময় একটি মাস। আরবী বারোটি মাসের মধ্যে রমজান মাসের মর্যাদা, মাহাত্ম্য সম্পূর্ণ আলাদা, ভিন্ন। কারণ, এ মাসেই পবিত্র ক্বোরআন নাজিল হয়েছে এবং এ মাসেই দুনিয়ার সব মুসলমান সওম বা রোজা রেখে থাকে। এ মাসটির ব্যাপারে পবিত্র ক্বোরআন পাকে আল্লাহ তায়ালা বলেন- “রমজান মাস হলো সেই মাস, যেই মাসে পবিত্র ক্বোরআন নাজিল হয়েছে ; যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্য পথের সুস্পষ্ট পথ নির্দেশ। আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী।” (সূরা বাকারা : আয়াত ১৮৫) রমজান মাসে ক্বোরআন নাজিল হওয়ায় মুসলমানদের কাছে মাসটি খুবই প্রিয়। গুরুত্বপূর্ণ এ মাসে ক্বোরআন মানবজাতির জন্য হেদায়েত এবং সত্য পথের সুস্পষ্ট পথ নির্দেশ নিয়ে এলো। যদি এ মাসে পবিত্র ক্বোরআন না আসতো, তবে মানুষ সঠিক পথের দিশা পেতো না। এ-র আগে মানুষ অন্ধকার এক জগতের মাঝে বাস করতো। ক্বোরআনই দুনিয়ার মানবজাতির সামনে এনে দিলো এক আলোর ঝলক। ঘুচে যায় অন্ধকার। এ আলোয় আজ সারা জাহান আলোময়, আলোকিত। রমজান মাস এলে মানুষের মধ্যে ন্যায় অন্যায়ের পার্থক্য সৃষ্টি হয়। অন্য মাসের চেয়ে আলাদা চলার, বলার আপ্রাণ চেষ্টা করে। মানুষের মাঝে বেড়ে যায় অতিরিক্ত আমল-আখলাক্ব। যারা অন্যমাসে নামাজ পড়ে না, তারাও এ মাসটি এলে দেখা যায় ভালোই নামাজ পড়ছে, রোজাও রাখছে, গরীবদেরকে দান খয়রাত করছে। ক্বোরআন তেলাওয়াত করছে। আরো ভাল যেসব আমল, তা করেই যাচ্ছে। যেহেতু মাসটি ক্বোরআন নাজিলের, তাই বেশি বেশি করে এ মাসে ক্বোরআন পড়া দরকার। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর কিছু সময় ক্বোরআন পড়লে ভালো। সারা মাসে এক খতম, দুই খতম, যে যে ভাবে পারেন, ক্বোরআন পড়ার অভ্যাস করাটা খুব ভালো। কারণ, এ মাসে ক্বোরআন পাঠের ফজিলত বেশি। আরবী বারোটি মাসের সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ এ রমজান মাসে আমাদের সবচেয়ে সতর্ক থাকতে হবে যে, আমরা কোন পাপ কাজ যেন না করি। এবং অন্যজনে ভালো কাজের উপদেশ প্রদান করি। প্রতিটি মুসলমান আশা পোষণ করে বেহেশতের। কিন্তু বেহেশতে যাওয়া কি এতো সহজ ? আল্লাহর কাজ না করে, নবীর কথামতো না চলে, আমরা আল্লাহর পক্ষ থেকে পুরস্কারের দাবী করি কিভাবে ? তাই আসুন, মহান আল্লাহর পাঠানো নেয়ামত আল ক্বোরআনকে আঁকড়ে ধরি, সম্মান করি, ভালোবাসি। এবং শুধু রমজানেই নয়, নিয়মিত প্রতিদিন যেন পাঠ করি ভক্তির সাথে। শুদ্ধস্বরে, শুদ্ধ ভাষায়। তবেই কাল কেয়ামতের মাঠে এ-ই ক্বোরআনই বেহেশত লাভের নি:শর্ত ফয়সালা হয়ে যেতে পারে।
লেখক: কলামিষ্ট,কবি,সাংবাদিক